Skip to content

Tachyon

বাংলায় বিজ্ঞান গবেষণায় প্রথম উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম

এল নিনো ও লা নিনা; কী, কেন, কীভাবে?

বন্যা,খরা,ঘূর্ণিঝড়,টর্নেডো,দাবানল ইত্যাদির মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইদানিংকালে প্রায়ই নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর। আবার বাংলাদেশেও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উষ্ণতা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত,হঠাৎ বন্যা ইত্যাদি লক্ষণীয় মাত্রায় নজরে আসছে। কিন্তু কেন?

উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের জানতে হবে এল নিনো ও লা নিনা সম্পর্কে।

El Nino & La Nina কোথা থেকে এলো?

কাহিনির সূত্রপাত সতেরো শতকে, যখন পেরুর উপকূলীয় অঞ্চকের জেলেরা লক্ষ্য করে ক্রিসমাসের সময়ে পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ থাকে, আবার কিছু বছর পর তুলনামূলক শীতল থাকে। সমুদ্রের পানির এই উষ্ণতা এবং শীতলতার বিষয়টিকে যথাক্রমে তারা নাম দেয় এল নিনো (যার অর্থ যীশুর ছেলে) ও লা নিনা (যার অর্থ যীশুর কন্যা)। মূলত শব্দ দুটি পুরোপুরি একে অপরের বিপরীত দশা বোঝায় যার প্রভাব পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর ব্যাপক।  বর্তমানে একে বলা হয় El Niño Southern Oscillation বা সংক্ষেপে ENSO। ENSO চক্রের মোট পর্যায় তিনটি– এল নিনো, লা নিনা এবং এনসো নিউট্রাল।১৯৬৩ সালে বিজ্ঞানী গিলবার্ট ওয়াকার এল নিনো বা লা নিনার সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও বায়ুচাপের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক খুঁজে বের করেন।

এল নিনো এবং লা নিনা:
কী, কেন, কীভাবে?

আমরা জানি,বিষুবীয় অঞ্চলে সূর্য খাড়া ভাবে কিরণ দেয়।এতে অধিক তাপের প্রভাবে সমুদ্রের পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যায় ও তৈরি হয় নিম্নচাপ ; যার ঠিক উল্টো কাহিনি ঘটে মেরু অঞ্চলে। সূর্যের তির্যক কিরণ ও তুলনামূলক কম তাপের প্রভাবে সেখানে দেখা দেয় উচ্চচাপ। যেহেতু বাতাস উচ্চচাপের অঞ্চল থেকে নিম্নচাপের অঞ্চলে ধাবমান,তাই স্বাভাবিকভাবেই মেরু থেকে বিষুবীয় অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু,সরাসরি উত্তর থেকে দক্ষিণে তা প্রবাহিত হয়না।বরং,পৃথিবীর নিজ অক্ষে ঘূর্ণনের ফলে মেরু থেকে বিষুবীয় অঞ্চলে আসা এ বায়ু কোরিওলিস ফোর্সের (যে আপাত বলের কারণে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীতে সমুদ্রস্রোত,বাতাস,ক্ষেপণাস্ত্র ইত্যাদি গতিশীল বস্তুর গতিপথ বেঁকে যায়) প্রভাবে পশ্চিম দিকে বেঁকে যায়।এতে বিষুবীয় ও তার আশেপাশের অঞ্চলে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে বায়ুপ্রবাহ বিদ্যমান থাকে। একে বলা হয় ট্রেড উইন্ডস। 

এখন,প্রশান্ত মহাসাগরের বিষুবীয় অঞ্চলের উষ্ণ পানি,পশ্চিম দিকের এই বায়ুপ্রবাহের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে ও ভারত মহাসাগরের দিকে চলে আসে। ফলে এই অংশের পানি হালকা হয়ে উপরে চলে যায় ও নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। বিপরীতক্রমে,প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে (দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশে) উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়। চাপের এই পার্থক্যের কারণে প্রশান্ত মহাসাগরে বায়ুপ্রবাহের একটি চক্র তৈরি হয়,যাকে ওয়াকার সার্কুলেশন বলে।

স্বাভাবিকভাবেই,নিম্নচাপের অঞ্চলে বাষ্পীভূত পানি মেঘের সৃষ্টি করে ও বৃষ্টিপাত ঘটায়।পক্ষান্তরে,উচ্চচাপের অঞ্চলে সাধারণত কম বৃষ্টিপাত হয় ও মরুভূমি দেখা যায়।যদি কোনো কারণে এই চাপের পার্থক্য বেড়ে যায় তাহলে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম অংশেও এই বায়ুপ্রবাহ বেড়ে যায় ও  সৃষ্টি হয় লা নিনা।অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থারই তীব্র রূপ লা নিনা যেখানে  প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রচুর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়।এতে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাত,বন্যা এবং ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় দেখা যায়।বিপরীতভাবে দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চল গুলোতে সমুদ্রের তলদেশের ঠান্ডা পানি উপরে চলে আসে ও তৈরি করে অতি উচ্চচাপ।ফলে দেখা দেয় খরা কিংবা দাবানল।

আবার,এর সর্ম্পূণ বিপরীত অবস্থা হলো এল নিনো।অর্থাৎ এই দশায়, পশ্চিমা বায়ু প্রবাহ কমে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণ পানি উলটো পূর্ব দিকে আসতে থাকে।ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝামাঝি ও দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলগুলোতে দেখা যায় নিম্নচাপ।এতে পেরু কিংবা চিলির মত অংশে ভয়াবহ বন্যা দেখা যায়।অন্যদিকে দক্ষিণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া,আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে উচ্চচাপের কারণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কমে আসে ও সৃষ্টি করে তাপপ্রবাহ,খরা কিংবা দাবানল।

আর যখন প্রশান্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা স্বাভাবিক সীমার মধ্যেই থাকে,ট্রেন্ড উইন্ডস এবং ওয়াকার সার্কুলেশনেও কোনো বৈচিত্র দেখা যায়না তখন সেই দশাকে বলে ENSO Neutral।এক্ষেত্রে বৈশ্বিক আবহাওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো বিপর্যয় তেমন দেখা যায়না।

সাধারণত,নিরপেক্ষ পর্যায়ে গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।কিন্তু এল নিনো দশায় তা ১ ডিগ্রি থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়।অন্যদিকে লা নিনা দশায় তা ০.৫ ডিগ্রি থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত হ্রাস পায়।

[কালো রেখা দ্বারা এনসো নিরপেক্ষ পর্যায় নির্দেষিত। Y অক্ষ বরাবর ONI(Oceanic Nino Index) সূচকের মান ০.৫ এর বেশি হলে এল নিনো এবং -০.৫ এর কম হলে লা নিনা পর্যায় বোঝায়।

১৯৮২-৮৩, ১৯৯৭-৯৮ ২০১৫-১৬ প্রভৃতি বছরে লাল চিহ্নিত অংশের বিস্তার সর্বাধিক যা সবচেয়ে শক্তিশালী এল নিনো নির্দেষ করছে।আর ১৯৭৩-৭৪, ১৯৮৮-৮৯, ২০১০-১১, ২০২০-২১ এ নীল চিহ্নিত অংশের বিস্তার সর্বাধিক যা ছিল তীব্র লা নিনা বছর।]

ENSO এর তান্ডব ও তীব্রতা:

এল নিনো এবং লা নিনা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক ঘটনা।পৃথিবীর ইতিহাসে এই ঘটনা বহুবার ঘটেছে।

১৯৭৩–৭৬ সালের লা নিনা টানা তিন বছর বিদ্যমান ছিলো যাকে Rare “triple-dip” event বলা হয়।এতে অস্ট্রেলিয়ায় টানা বর্ষণ ও বন্যার সৃষ্টি হয় এবং পশ্চিম আমেরিকায় মারাত্মক শীতকাল বিরাজ করে।১৮৭৭–৭৮ সালের ভয়াবহ এল নিনোতে ভারত, চীন, ব্রাজিল, মিশরসহ নানা জায়গায় মারাত্মক খরা দেখা দেয়।এতে আনুমানিক ৩০–৫০ মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যায়।১৯৮২–৮৩ সালের এল নিনোর ফলে পেরু ও ইকুয়েডরে ভয়াবহ বন্যা হয় এবং দেশের মৎস্যশিল্প ধ্বংস হয়।অন্যদিকে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় তীব্র খরার সৃষ্টি হয়।১৯৮৮ সালের লা নিনার ঘটনায় উত্তর আমেরিকা জুড়ে খরা দেখা দেয়।১৯৯৭-৯৮ এর এল নিনোতে ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলে ভয়াবহ দাবানল সৃষ্টি হয়।বিপরীতে পূর্ব আফ্রিকায় তৈরি হয় মারাত্মক বন্যা।

সাম্প্রতিককালের মধ্যে ২০১৫-১৬ এর শক্তিশালী এল নিনো সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। এসময় পেরু ভয়ঙ্কর বন্যার এবং ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক দাবানলের সম্মুখীন হয়েছিলো।

তাছাড়াও গত কয়েক বছরে ক্রমাগত লা নিনার প্রভাবে তাপমাত্রা কমেছে এবং কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।আবার,গত ৭০ বছরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার রেকর্ড বিশ্লেষণ করে গবেষকরা এনসো’র মধ্যে পরিবর্তন খুঁজে পেয়েছেন। তাদের ধারণা বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে ২০৩০ সালের মধ্যে শক্তিশালী লা নিনা এবং এল নিনো শনাক্ত হবে।

হিট ইন্ডেক্সের পরিবর্তন:

Heat Index হলো একটি সূচক, যা বাতাসের তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতার সমন্বয়ে বের করা হয় এবং এর মাধ্যমে মানব শরীরে অনুভূত গরমের পরীমাপ সম্পর্কে বোঝা যায়।যেমন, কোনোদিনের তাপমাত্রা যদি ৩৪°C হয়, আর আর্দ্রতা যদি ৭০% থাকে, তাহলে শরীরে ৪৫°C এর মতো গরম লাগতে পারে।

এখন,এল নিনো সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার বর্ষাকাল দুর্বল করে।ফলে কম বৃষ্টিপাত বা খরার ফলে বাতাসের আর্দ্রতা কমে,কিন্তু তাপমাত্রা ঠিকই বেড়ে যায়।অর্থাৎ,

“ তীব্র তাপমাত্রা + তুলনামূলক শুষ্ক বায়ু”

এতে হিট ইন্ডেক্স মাঝারি বা কম হলেও এল নিনোর সময়গুলোতে দক্ষিণ এশিয়ায় তাপমাত্রা ৪০–৪৩°C পর্যন্ত ওঠে।এদিকে,শুষ্ক বাতাসের কারণে মেঘ কম থাকে,সূর্যের তাপ সরাসরি পড়ে,ফলে গরমে তীব্র জ্বালাপোড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে।আবার,বেশি বেশি ঘাম হওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন(পানি শুণ্যতা)দেখা যায়।

অন্যদিকে,লা নিনা সাধারণত ভারী বৃষ্টি আর বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে।তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও,আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে হিট ইন্ডেক্স বেড়ে যায়।ফলে বর্ষার দিনগুলোতেও চারিদিকে ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া বিরাজ করে।

সাধারণত,মৌসুমি বায়ু, উপকূলীয় অঞ্চল আর নদী–বেষ্টিত ভূপ্রকৃতির কারণে আমাদের দেশে বাতাসে আর্দ্রতা সবসময় বেশি।যার ফলে হিট ইন্ডেক্স বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি সূচক। 

ভারতীয় উপমহাদেশে ENSO এর প্রভাব:

এল নিনো ও লা নিনার ফলে যে শুধু এই নির্দিষ্ট অঞ্চলগুলোই প্রভাবিত হয় তা নয় বরং গোটা বিশ্বেই আবহাওয়ার গোলযোগ দেখা দেয়।এর কারণ পৃথিবীজুড়ে ওয়াকার সার্কুলেশনের বিস্তৃতি।ভারতীয় মহাসাগর ও আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার কথাই যদি ধরি,ওয়াকার সার্কুলেশন অনুযায়ী ভারত মহাসাগরে থাকবে উচ্চচাপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় থাকবে নিম্নচাপ।তাই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতও বহাল থাকবে।এখন ওয়াকার সার্কুলেশনের ব্যতিক্রমের কারণে যদি এর উল্টোটা ঘটে,অর্থাৎ ভারত মহাসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়,তাইলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উচ্চচাপ তৈরি হবে,শুষ্কতা বৃদ্ধি পাবে ও খরা দেখা দিবে।

লা নিনা–সংক্রান্ত অতিরিক্ত বর্ষণে ১৯৯৮ সালের বন্যায় দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয় যাতে ৩ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।আবার লা নিনার তান্ডবে ২০১০ সালে পাকিস্তানের ইতিহাসের ভয়ঙ্কর বন্যা সংঘটিত হয় যেখানে প্রায় ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।অন্যদিকে এল নিনোর বছরগুলোতে (যেমন ২০১৫–১৬) বাংলাদেশে খরার প্রবণতা বেড়ে যায়।

আবার,সাম্প্রতিক “triple-dip” event তথা ২০২০-২৩ সালে টানা ৩ বছর জুড়ে লা নিনার ফলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও নদীবন্যার ঝুঁকি বেড়েছিল।

প্রসঙ্গত,ENSO এর বিরূপ প্রভাবের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো বিগত ২০২৪ সাল। সেবছর এল নিনোর শক্তিশালী প্রভাবের কারনে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রীর উপরে উঠে যায়। তাপদাহের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যঘাতের পাশাপাশি হিটস্ট্রোকে বহ প্রাণহানিও ঘটে। বর্ষাকালে বৃষ্টিপাতও তুলনামূলক কম ও দেরিতে শুরু হয় যা ফসল উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাব রাখে।তাছাড়াও সিলেট ও ফেনিতে আকস্মিক বন্যার জন্যও এটি দায়ী।

তবে,ভারতীয় উপমহাদেশের কৃষিখাতে লা নিনা অনেকক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা রেখে থাকে।যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টিপাতের দরুণ অধিক ফসল উৎপাদনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়।আবার হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওার জেনারেশনেও সুবিধা দেখা দেয়।যদিও বড় আকারের নিম্নচাপের ফলে বন্যা ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ও তৈরি হয়।ক্ষতিগ্রস্ত হয় জান-মাল।

যবনিকা:

সাধারণত এল নিনো বা লা নিনা ৯ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। আবার কখনো কখনো তা ৩ বছর পর্যন্তও স্থায়ী হয়।২ থেকে ৭ বছর পর পর এই দুটি দশা পর্যায়ক্রমিকভাবে ঘটতে থাকে।গবেষণামতে,দিনে দিনে এর তীব্রতা বাড়ছে।যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন, তবে গ্রিন হাউজ গ্যাসের ফলে ক্রমাগত জলবায়ু পরিবর্তন,বায়ুমন্ডলের আর্দ্রতা বৃদ্ধি, ট্রপিক্যাল অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্যের ধরণ বদলানো ইত্যাদি কারণে ENSO আরও অস্থির ও চরম রূপ ধারণ করছে বলে তাঁরা দাবি করে থাকেন।

Reference:

El Niño–Southern Oscillation

National Weather Service

Remote Impacts from El Niño and La Niña on Climate Variables and Major Crops Production in Coastal Bangladesh

How will El Niño impact Bangladesh’s climate and agriculture this year?

Wave of exceptionally hot weather scorches south and south-east Asia  

লিখনীতে

তাসনিয়া রহমান মাহি
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ,পাবনা
একাডেমিক মেম্বার,ট্যকিয়ন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।