Skip to content

Tachyon

বাংলায় বিজ্ঞান গবেষণায় প্রথম উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম

আমার গ্রহাণু আবিষ্কার

শব্দগুলো – গ্রহাণু , এস্টেরয়েড বেল্ট

গ্রহাণু শব্দটিকে ভাঙলে আমরা পাই গ্রহাণু=গ্রহ+অণু। অর্থাৎ ছোট আকৃতির যে গ্রহ, তারা হচ্ছে গ্রহাণু। গ্রহাণু প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত এমন বস্তু যারা নিজেদের নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে। এদের কোনো বায়ুমণ্ডল থাকে না এবং ভূতাত্ত্বিক ভাবেও এরা সক্রিয় নয়। আকৃতিতে অনেক ছোট হওয়ার কারণে এদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না, তবে দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এদেরকে অস্পষ্ট তারকারাজির মতো দেখা যায়। এদের আকৃতি কয়েক মিটার থেকে শুরু করে এত বড় হতে পারে যে এরা নিজেদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র গ্রহাণুদেরকে চাঁদ হিসেবে আটকে রাখতে পারে, যেমনটা পৃথিবী চাঁদকে আটকে রাখে। তবে এদের মাধ্যাকর্ষণ বল যথেষ্ট শক্তিশালী না হওয়ার কারণে এরা গ্রহগুলোর মতো গোলাকৃতি ধারণ করতে পারে না, বরং অনিয়মিত আকৃতিরই রয়ে যায়। জিউসেপ্প পিয়াজি সর্বপ্রথম একটি গ্রহাণু খুঁজে পায়। 1801 সালে একটি নক্ষত্র মানচিত্র তৈরি করার সময়, দুর্ঘটনাক্রমে মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মধ্যে প্রায় 1000 কিলোমিটার ব্যাসের একটি ছোট্ট বস্তু আবিষ্কার করে ফেলেন পিয়াজি। পিয়াজি এই বস্তুটির নাম রাখেন সেরেস। এটি যে আবিষ্কার করা প্রথম গ্রহাণু শুধু তাই নয় বরং এযাবৎ কালের আবিষ্কৃত সর্ব বৃহৎ গ্রহাণুও এটি।

আচ্ছা, অসংখ্য গ্রহাণু আবিষ্কৃত হয়েছে এবং সামনে আরো হবে। মহাকাশীয় সকল বস্তুই তো আর গ্রহাণু না। মহাকাশীয় বস্তু হতে পারে গ্রহ, উপগ্রহ নক্ষত্র বা অন্য কিছু। তাই না? তো বিজ্ঞানীরা বা একজন নাগরিক বিজ্ঞানী (Citizen Scientist) কীভাবে খুঁজে পায় এসব গ্রহাণু? জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী একজন লোক কি কোনো গ্রহাণু আবিষ্কার করতে পারবে? গ্রহাণু আবিষ্কার কীভাবে করে? আমি এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করব–যেভাবে আমি পেয়েছি 5টি প্রিলিমিনারি গ্রহাণু।

প্রথমে একটু করে IASC সম্পর্কে বলি। IASC বা The International Astronomical Search Collaboration একটি Citizen science program (নাগরিক বিজ্ঞান প্রোগ্রাম) যা বিশ্বজুড়ে Citizen scientist (নাগরিক বিজ্ঞানী) কে উচ্চমানের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক ডেটা সরবরাহ করে। এই Citizen Science Program টি নাসার Citizen Science Program এর মধ্যে অন্যতম। Citizen Science Program বা এই Citizen Scientist আবার কি বা কারা? Citizen Science Program আসলে বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান বাড়াতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জনগণের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতামূলক অনুশীলন কার্যক্রম। বিজ্ঞানে আগ্রহী বা অনাগ্রহী যেসব লোকেরা এইসব বিজ্ঞান বিষয়ক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে ডেটা পর্যবেক্ষণ, সংগ্রহণ এবং অবদান রাখে তারাই Citizen Scientist। সাধারণত এই অংশ নেওয়ায় কোনো Citizen Scientist আর্থিক সুবিধা, কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ সুবিধাই পায় না। IASC-ও এমনই একটি citizen science program। যেখানে নাগরিক বিজ্ঞানীরা জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়। মূলত গ্রহাণু অনুসন্ধান IASC-এর প্রাথমিক ফোকাস। প্রত্যেক বছর IASC ক্যাম্পেইন করে। সারা বিশ্ব হতে Citizen scientist এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী ব্যক্তি দলগতভাবে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং, এরই মধ্য দিয়ে এক মাসের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীরা গুরত্বপূর্ণ অনুসন্ধান কিংবা নতুন কোনো গ্রহাণু আবিষ্কার করে।

প্রতি বছর 80 টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় 2500 টি দল ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের দেশের কোনো সংগঠন বা আন্তর্জাতিকভাবে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করতে পারে। আমি আন্তর্জাতিকভাবে পার্টিসিপেট করেছিলাম। দুবার করেছিলাম, ২০২০ সালে হওয়া নভেম্বর- ডিসেম্বর ক্যাম্পেইন এবং ২০২১ সালে হওয়া মার্চ ক্যাম্পেইন। আপনিও চাইলে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অংশগ্রহণ করার জন্য চলে যান IASC এর ওয়েবসাইট-এ। লিঙ্ক:

http://iasc.cosmosearch.org/

ওয়েবসাইটে ঢুকে এবার ভালোভাবে পড়ে নিন কী করতে হয় বা হবে। এরপর চিন্তা করে দেখুন আপনি পারবেন কিনা (যদিও আমার ব্যক্তিগত মতামত আপনি চাইলেই পারবেন)। এক্ষেত্রে আপনি আন্তর্জাতিক কিংবা দেশজ কোনো সংগঠন থেকে অংশগ্রহণ করতে পারেন। দেশজ কোনো সংগঠন থেকে অংশগ্রহণ করার জন্য ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিন কোনো সংগঠন আপনার দেশ থেকে IASC এর সাথে যুক্ত আছে। এরপর সেই সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করুন। দেশজ কোনো সংগঠন থেকে অংশগ্রহণ করলে আপনার জন্য একটু বিশেষ সুবিধা হতে পারে। যেমন কীভাবে কী করতে হবে সেই বিষয়ে ট্রেনিংটা পেলেন এবং সঠিক গাইডলাইনও পেলেন। এরপর Register এ ক্লিক করুন এবং সেখানে যা বলেছে সে অনুযায়ী, সেখানে দেওয়া ইমেইল অ্যাড্রেসে, যেভাবে ইমেইল করতে বলেছে সেভাবে করুন। ইমেইল এর উত্তর সাধারণত সাথে সাথে আসে না। অনেক দিন পর কিংবা কিছুদিনের মধ্যে আসে। IASC থেকে দেওয়া সেই ইমেইলে-ই বলে দিবে আপনার ক্যাম্পেইনের দিন কবে পড়েছে এবং কি কি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার আন্তর্জাতিকভাবে অংশগ্রহণে কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে না।

আপনাকে ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করার আগে অবশ্যই কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার অবশ্যই কম্পিউটার থাকতে হবে এবং ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আপনার কোনো টেলিস্কোপের প্রয়োজন নেই। ক্যাম্পেইন শুরুর দিনগুলোতে আপনাকে প্রায় 6 ঘণ্টা (IASC মতে) সময় এর পেছনে দিতে হবে। ক্যাম্পেইন টা এক মাস ধরে হয় এবং কাজ করতে হয় দলীয়ভাবে। এককভাবে কাজ করা সত্যিই একটু কঠিন। সেটা কেন তা তো কতটুকু সময় ব্যয় এবং কতদিন যাবত কাজ করতে হয় তার দিকেই খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন। ক্যাম্পেইনে কাজ করার জন্য যে সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করা হয় তার নাম Astrometrica। Astrometrica দিয়ে কীভাবে কাজ করতে হয় তা সম্পর্কে আপনার জানা আবশ্যক! Mac operating system-এ কিন্তু Astrometrica চলে না, এই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

তো ক্যাম্পেইনে আপনি কাজ করবেন কী বা কীভাবে করবেন? এক্ষেত্রে আপনাকে কতগুলো ইমেজ সেট বিশ্লেষণ করতে হবে। ইমেজ সেটগুলি হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি (আইএফএ) দ্বারা সরবরাহ করা হয়। পরিষ্কার এবং গভীর অন্ধকার আকাশের দিকে তাক করে, হালেকালায় অবস্থিত 1.8-মি দীর্ঘ Pan-STARRS টেলিস্কোপ দিয়ে আইএফএ চিত্র (image) গ্রহণ করে। এই চিত্রগুলো IASC ক্যাম্পেইনে পার্টিসিপেটরদের সরবরাহ করে এবং পার্টিসিপেটরদের কাজ সেটগুলি গ্রহণ করা, গ্রহাণুর সন্ধান এবং পরিমাপ করা। ইমেজ সেটগুলি দুই সপ্তাহের সময়কালে চাঁদের প্রথম কোয়ার্টার থেকে শুরু করে তৃতীয় কোয়ার্টার দিয়ে শেষ করা পর্যন্ত প্রেরণ করা হয় দলগুলোকে। অর্থাৎ দলগুলো তাদের ডাটা বিশ্লেষণ শেষ করতে এবং রিপোর্ট জমা দিতে প্রায় এক মাস সময় পায়। এসময় ২০ টিরও বেশি ইমেজ সেট পায় প্রত্যেক দল। কতটা ইমেজ সেট দিতে পারবে IASC, তা আবহাওয়ার উপরও নির্ভর করে। তবে বিশেষ কোনো যোগ্যতা অর্জনের আগে IASC আপনাকে নতুন এবং অনন্য ইমেজ সেট দিবে না। এর আগে অবশ্যই আপনাকে প্র্যাকটিস সেটের সঠিক রিপোর্ট তৈরি করার মধ্য দিয়ে এক পরীক্ষা (এক রকম বলাই যায়) দিতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত না সঠিক রিপোর্ট তৈরি করতে পারছেন, আপনি নতুন এবং ইউনিক ডাটা সেটও পাবেন না। দেখা যায় পুরো মাস চলে গেল আপনি পারলেন না সঠিক রিপোর্ট তৈরি করতে, আপনি আর নতুন ডাটা সেটও পাবেন না। কারণ আপনি রিপোর্ট তৈরি না করতে পারলে তো সঠিক গ্রহাণুও নির্ণয় করতে পারবেন না। তাই-ই এই ব্যবস্থা। ইমেজ সেট পাওয়ার পর আপনাকে ইমেজ সেটগুলোকে আগা হতে গোড়া পর্যন্ত বিশ্লেষণ করতে হবে। মহাকাশীয় বস্তুর মাঝে সরল পথে চলমান গ্রহাণু খোঁজা সত্যিই একটু কঠিন। কারণ সবই অতি ক্ষুদ্র দেখতে। সরল পথে চলমান অতি ক্ষুদ্র সকল অবজেক্ট যে গ্রহাণু হবে তাও না। Quick start guide থেকে মিলিয়ে TRUE SIGNATURE খুঁজে বের করতে হবে। Astrometrica, Quick start guide সহ প্রয়োজনীয় উপাদানের লিঙ্ক IASC ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। এই নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার যা প্রয়োজন তা হচ্ছে কাজে মনোযোগী হওয়া।

তবে সকল ইমেজ সেটে যে গ্রহাণু থাকবে তা কিন্তু নয়। আবার সব গ্রহাণু যে নতুন কোনো গ্রহাণু হবে তাও কিন্তু না! এর মধ্যে পূর্বে আবিষ্কৃত গ্রহাণুও থাকতে পারে। তাই আপনাকে বারবারই designation file চেক করতে হবে। নতুন গ্রহাণু পাওয়া যাক বা না পাওয়া যাক কিংবা পূর্বে আবিষ্কৃত গ্রহাণুর জন্য হোক; প্রত্যেক ইমেজ সেটের জন্যই রিপোর্ট তৈরি করে IASC ওয়েবসাইটে জমা দিতে হয়। এরপর IASC গ্রহাণুর সম্ভাব্যতার জন্য রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখবে। এরপর ক্যাম্পেইন শেষে আবিষ্কৃত প্রিলিমিনারি গ্রহাণুর একটা ফাইনাল রিপোর্ট দিবে। এরমধ্যে আপনি পূর্বে আবিষ্কৃত গ্রহনুগুলোর রিপোর্ট তৈরি করলেও সেগুলোর জন্য কোনো ক্রেডিট পাবেন না। তবে এটা হয়তো কষ্টকর মানতে যে, এক মাস ধরে এত কষ্ট করলাম সবগুলো ইমেজ সেট পুরা ব্ল্যাঙ্ক বা নতুন কোনো গ্রহাণু নাই এতে! হুম, এটা পসিবল যে একটা ডাটা সেটেও কোনো গ্রহাণু নাই, কিংবা নতুন কোনো গ্রহাণু নাই! আমি বলব এই নিয়ে হতাশ হবার কিছুই নেই। কারণ, বারবারই অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে এবং সবচেয়ে বড় কথা আপনার এই অংশগ্রহণে বিজ্ঞানের উন্নতি সাধিত হয়েছে। সেটা কি কম কথা?

এবার আসি অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন কিনা সেই নিয়ে। আগেই বলেছি IASC একটা Citizen Science Program। আর Citizen Science Program-এ অংশগ্রহণে সাধারণত আর্থিক লাভবান হবার সুযোগ নেই। এখানেও অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনি আর্থিক সুবিধা পাবেন না। আপনি যদি কোনো নতুন গ্রহাণু পেয়ে থাকেন তবে আপনি তার জন্য আবিষ্কারকের ক্রেডিট পাবেন। গ্রহাণুর নামকরণের অধিকারও আপনার থাকবে। আরেকটি প্রশ্ন থাকতে পারে। IASC এর ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ ছাড়া আপনি কি কোনো গ্রহাণু আবিষ্কার করতে পারবেন? অবশ্যই পারবেন এবং এই বিষয়ক আরো নানা প্রোগ্রাম আছে।

আমি যখন অংশগ্রহণ করি, ২০২০ সালে পার্টিসিপেট করা ক্যাম্পেইনটাতে সারা বিশ্ব হতে আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৫৩ টি প্রিলিমিনারি গ্রহাণু, এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল ১২ টি, এর মধ্যে আমি পেয়েছিলাম ১ টি প্রিলিমিনারি গ্রহাণু। ২০২১ সালে পার্টিসিপেট করা ক্যাম্পেইনটাতে সরা বিশ্ব হতে আবিষ্কৃত হয়েছিল ৮৯১ টি গ্রহাণু, এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক সেকশনে আবিষ্কৃত হয়েছিল ৬ টি প্রিলিমিনারি গ্রহাণু যেখানে ৪ টি প্রিলিমিনারি গ্রহাণু পেয়েছিলাম আমি। ২০২০ সালে পাওয়া আমার গ্রহাণুটির নাম P119UkC। এই গ্রহাণুটির লিংকড নেম দিয়েছিলাম SHI7492। জীবনে পাওয়া এই প্রথম গ্রহাণুর লিংকড নেম আমার মায়ের “SHIKHA” নামের সাথে মিলিয়ে দিয়েছিলাম। গ্রহাণুটি একটা ‘Main Belt Asteroid’। মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় অনেকগুলো গ্রহাণু অবস্থান করছে। এই এলাকাটাকে বলা হয় Main Asteroid Belt। পৃথিবী সূর্য থেকে যতটা দূরে অবস্থিত তার চেয়ে আড়াইগুণ দূরত্ব বেশি নিয়ে মেইন অ্যাস্টেরয়েড বেল্ট বিস্তৃত। নাসার মতে মেইন অ্যাস্টেরয়েড বেল্টে মিলিয়ন মিলিয়ন গ্রহাণু রয়েছে! আমার এই গ্রহাণুটি সেগুলোর মধ্যেই একটি। আমার ২০২১ সালের মার্চ ক্যাম্পেইনে পাওয়া ৪টি গ্রহাণুগুলো হলো P11dsy2, P11dPDY, P11dPUZ এবং P11dWnn। এই গ্রহানুগুলোর লিংকড নেম দিয়েছিলাম ZAM1449, MUN4567, SAD1234 এবং PAG1234। এগুলো সবগুলোও Main Belt Asteriod। সবগুলো গ্রহাণুই কিন্তু প্রিলিমিনারি গ্রহাণু। গ্রহাণুর প্রিলিমিনারি আবিষ্কার হলো অজানা গ্রহাণুর প্রথম পর্যবেক্ষণ। মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের ৭-১০ দিনের মধ্যে এটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে এবং তার কক্ষপথটি আরও ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো প্রাথমিক এই আবিষ্কারটির পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এরপর প্রিলিমিনারি গ্রহাণুর আনুষ্ঠানিক নামকরণ করণের এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় নেয়। ২০০৬ সালের অক্টোবরে IASC এর এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে, অংশগ্রহণকারীরা ১,৭০০ টিরও বেশি গ্রহাণু আবিষ্কার করেছে। আমার পার্টিসিপেশন থেকে বলতে পারি গ্রহাণু আবিষ্কার এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। ধৈর্য আর পরিশ্রমের সংমিশ্রণে এ এক অন্যরকম আনন্দ

5 comments on “আমার গ্রহাণু আবিষ্কার”

    1. আমি ৩ বার এই পর্যন্ত অংশ নেই। ১টায় প্রিলিমিনারি এস্ট্রোয়েড ডিসকোভারি করি যার মধ্যে ১টা মেইবি আসলেই এস্ট্রোয়েড ছিলো। পরে আর কোনো খবর পাই নাই :”) সার্টিফিকেটটা পড়ে আছে জাস্ট।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।