Histidine একটি ক্ষারীয় অ্যামিনো এসিড। এটা আবশ্যিক অ্যামিনো এসিড। বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাদ্যে এটা থাকে। যেমন মাংস, মাছ, পোল্ট্রি, দুধ। তাছাড়া কিছু দানাদার ফসল যেমন ধান, গম, যব ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এমন অনেক কোষ থাকে। যখন অ্যালার্জি হয় তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাদেহের ভেতরে allergens (বহিরাগত পদার্থ যা allergy তৈরি করে) এর উপস্থিতিতে কাজ শুরু করে ।
যদিও এসব allergens গুলো কোন ক্ষতিকর জীবাণু নয় তবুও রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাগুলো যখন এদের ওপর ক্রিয়া করে তখন allergy হয় ।
যেভাবে allergy হয়
মানুষের শরীরে কোন allergen যেমন ফুলের ছোট ছোট পরাগরেণু, মাইট, মশার লালার প্রোটিন, বিচুটি গাছের নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি প্রবেশ করলে সেগুলো B lymphocyte কোষের সাথে ক্রিয়া করে। তখন এই কোষ এন্টিবডি তৈরির জন্য প্লাজমা কোষে সংকেত দেয়।
- প্লাজমা কোষ IgE ( Immunoglobulin E) এন্টিবডি তৈরি করে ।
- এগুলো তখন Mast cell এর সাথে যুক্ত হয়
- Mast cell এর antibody এর সাথে এরপর allergens গুলো লেগে যায় ।
- তখন Mast Cell এর মধ্যে থাকা অ্যামিনো এসিড Histidine এর Decarboxylation বিক্রিয়া হয়। অর্থাৎ Histidine এর -COO- অংশটি CO_2 রূপে অপসারিত হয়ে Histamine তৈরি হয়। এই জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য Histidine decarboxylase এনজাইম দরকার ।
- উৎপন্ন Histamine শরীরে বিভিন্ন কোষের গ্রাহক (receptors) এর সাথে যুক্ত হয় । যেমন রক্ত নালীর কোষের সাথে যখন যুক্ত হয় তখন নাক দিয়ে সর্দি পড়ে আবার যখন চামড়ার স্নায়ু কোষের সাথে লেগে যায় তখন চুলকানি হয়।
এই সমস্যা দূর করার জন্য তাই antihistamine ঔষধ খায়।
যাই হউক অ্যামিনো এসিড Histidine এর গুরুত্ব আছে। এর অভাব হলে শরীরে রিউমোটিক আর্থারাইটিস হতে পারে।