Skip to content

Tachyon

বাংলায় বিজ্ঞান গবেষণায় প্রথম উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম

বিমানের দিকে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করা কেন অপরাধ?

লেখক : কে. এম. শরীয়াত উল্লাহ

আকাশে যদি একটি লেজার লাইট মারা হয়, তাহলে আপনার মনে হতে পারে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যেয়ে এ লাইট নিশ্চয় থেমে যাবে। আকাশে উড়া বিমান পর্যন্ত হয়তো পৌঁছাবে না। তবে এ কথা সত্য নয়।

এমনকি একটি খুবই স্বল্প মানের শক্তি সম্পন্ন লেজার রশ্মি বিমান যে উচ্চতায় সচরাচর উড়ে, সে উচ্চতা পর্যন্ত যেতে সক্ষম। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন। একটি এক মিলিওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার রশ্মি ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে পৌঁছে গেছে।

এই লেজার রশ্মি বিমানের পাইলটের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এমনকি এ লেজার রশ্মি পাইলটের চোখে গেলে পাইলট সাময়িক অন্ধও হয়ে যেতে পারেন।

আরেকটি বিষয় একটু লক্ষ্য করুন। একটি রশ্মি যত দূড় যাবে, এটির বিস্তৃতিও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। একটি মিলিমিটার ডট আকারের লেজার রশ্মি কয়েক কিলোমিটার দূড়ে এক ইঞ্চি পরিমাণ বিস্তৃতি জায়গা জুড়ে দিতে পারে। এতে বিমানের পাইলট নানা ভুল ধারণা পেতে পারেন ও বিমান চালানোর সময় নানা ভাবে বিরক্তি বোধ করতে পারেন। এর ফলাফল স্বরূপ বিমানের ক্র্যাশ ল্যান্ডিংও হতে পারে।

শাস্তি

আমেরিকার ফেডারেল কোর্টের নিয়ম অনুসারে প্রয়োজন ছাড়া বিমানের উদ্দেশ্যে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০০৮ সালের অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়ার একজন ব্যক্তিকে ৩ মিলিওয়াটের একটি লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করার কারণে ২ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালে ১ মিলিওয়াটের বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন লেজার রশ্মির ব্যবহারকে নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশের সংবিধানে ২০১৭ এর ধারা ২৬ অনুসারে বিমানকে লক্ষ্য করে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ শাস্তিযোগ্য ও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ মর্মে গত ১৭ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেবিচক।

তথ্যসূত্র
Laser Pointer Safety Com and Wikipedia

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।